1. info@www.gowainghatdarpan.online : গোয়াইনঘাট দর্পণ :
  2. gowainghatdarpa@gmail.com : গোয়াইনঘাট দর্পণ : গোয়াইনঘাট দর্পণ
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
গোয়াইনঘাটে ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটিতে থমকে গেছে ঘর নির্মাণ, ভোগান্তিতে জুবায়ের আহমদ সড়ক উন্নয়ন ছাড়া গোয়াইনঘাটের পর্যটন সম্ভাবনা ব্যাহত হবে গোয়াইনঘাট প্রবাসী সমাজকল্যাণ পরিষদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা : বিভিন্ন মহলের অভিনন্দন গোয়াইনঘাটে পরিবর্তনের ডাকে তরুণরা : নেতৃত্বের নতুন আশার নাম আমিরুল অনিয়মে জর্জরিত রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট : চলছে ব্ল্যাক টিকেট বাণিজ্য হাতিপাড়া গ্রামকে বাল্যবিবাহ ও খোলাপায়খানামুক্ত ঘোষণা গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ে নৌকা ডুবে শ্রমিক নিখোঁজ গোয়াইনঘাটে পূর্বাভাসভিত্তিক সাড়াদান বিষয়ে এফআইভিডিবির প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত সতী গ্রামবাসীর মহতী উদ্যোগ অনুকরনীয় গোয়াইনঘাটে ধানকাটা উৎসবে ইউএনও রতন কুমার অধিকারী গোয়াইনঘাটে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসা ভারতীয় গরু বন্ধে প্রশাসনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

গোয়াইনঘাটে এএসআই তানভীর ও লাইনম্যান গোলাম হোসেনের নেতৃত্বে চলছে ভারতীয় চোরাচালান

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৫

বিছনাকান্দি সীমান্ত কি ওপেন ?

চলছে পথে পথে চাঁদাবাজি!

দর্পণ রিপোর্ট : সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকাজুড়ে ভারতীয় অবৈধ চোরাচালান ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার নবগঠিত বিছনাকান্দি ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় চলছে ভারতীয় চোরাচালানের রাজত্ব। জানা গেছে, স্থানীয় থানা পুলিশের এএসআই তানভীর ও রকিবের সাথে হাত মিলিয়ে চোরাকারবারি গোলাম হোসেন ও তার বাহিনীর সদস্যরা বিছনাকান্দি-হাদারপাড় বাজার এলাকা থেকে ভারতীয় গরু-মহিষ থেকে দুই হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। বিছনাকান্দি ও রুস্তমপুর বিট পুলিশ মিলে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার চাঁদা বাণিজ্যে চোরাচালান এখন “ওপেন সিক্রেট”। পুলিশের লাইনম্যান খ্যাত গোলাম হোসেন বাহিনীর দৌরাত্যে অতিষ্ট সীমান্ত এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষ।

পতিত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের দোসর আলোচিত চোরাকারবারি সাবেক যুবলীগ নেতা বুঙ্গাড়ি গোলাম হোসেন এখনো পুলিশের লাইনম্যান হিসেবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এলাকায়। বর্তমানে বিছনাকান্দি হাদারপাড় এলাকায় অবৈধ টাকা আদায়ের জন্য লাইনের দায়িত্ব পালন করছে। জানা গেছে, বিছনাকান্দি ও রুস্তমপুর বিটের দায়িত্বে থাকা এসআই রকিব ও এএসআই তানভীরের সাথে চোরাকারবারী গোলাম হোসেনের গভীর সখ্যতা থাকায় গোলাম হোসেন আরোও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, পতিত আওয়ামী যুবলীগ নেতা আলোচিত চোরাকারবারি গোলাম হোসেন মাদক চোরাচালানসহ অস্ত্র ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে। তার পরিচালনায় ভারতে পাচার হচ্ছে দেশীয় রসুন, স্বর্ণ ও হুন্ডির টাকাসহ বিভিন্ন পন্য সামগ্রী। বিনিময়ে ভারত থেকে আসছে গরু, মহিষ, শাড়ী, থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা, মদ, ইয়াবা ও ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ফোন। আর এসব কাজে গোলাম হোসেনের একান্ত সহযোগী এএসআই তানভীর। চিহ্নিত চোরাকারবারী গোলাম হোসেন ভারতীয় চোরাচালান চক্রের কাছ থেকে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের নামে প্রতিদিন রাতে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে থাকে। কোন চোরাকারবারী চাঁদা দিতে অপারগতা দেখালে সাথে সাথে পুলিশ দিয় ধরিয়ে আদায় করছে টাকা। ভারত থেকে ভারতীয় গরু ও মহিষ প্রতি ২০০০ টাকা চাঁদা আদায় করে গোলাম হোসেন ও তার বাহিনীর সদস্যরা।
সূত্র জানায়, কিছুদিন পূর্বে এসআই কামাল ও এএসআই তানভীরের বিরুদ্ধে পাথর হরিলুট ও চাঁদাবাজির অভিযোগ সামনে আসলে এসআই কামালকে প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু একই অভিযোগে অভিযুক্ত এএসআই তানভীর রয়ে যায় বহাল তবিয়তে। প্রশ্ন উঠেছে- প্রত্যাহার না হওয়ায় তানভীরের খুঁটির জোর কোথায়?
এ ব্যাপারে এএসআই তানভীরের মুঠোফোনে কল দিলে তাকে পাওয়া যায় নি।
এ বিষয়ে গোলাম হোসেনের সাথে প্রতিবেদকের  যোগাযোগ হলে তিনি চোরাচালানের সাথে জড়িত বলে বিষয়টি স্বীকার করেন বলেন, ৫ তারিখের আগে আরও জমজমাট ব্যবসা ছিল। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকার কারণে একটু খারাপ সময় যাচ্ছে। আমি একজন বুঙ্গার ব্যবসায়ী, বলে ফোন কেটে দেন তিনি।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরকার তোফায়েল আহমেদ গোয়াইনঘাট দর্পণকে বলেন, চোরাচালানের বিরুদ্ধে পুলিশের তৎপরতা রয়েছে এবং চাঁদাবাজিতে পুলিশ যাতে না জড়ায় এটি নিষেধ করা হয়েছে। অবৈধভাবে ভারতীয় গরু-মহিষের চোরাচালান প্রতিরোধে ইউএনও মহোদয়ের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
ওসি বলেন, পুলিশ বৈধ ইজারাদারের পক্ষে সহযোগিতা করছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন

স্বত্ব © গোয়াইনঘাট দর্পণ কর্তৃক সংরক্ষিত

প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট