উত্তর সিলেটের ভারত সীমান্তভর্তী জনপদ ও পর্যটন সমৃদ্ধ উপজেলা গোয়াইনঘাটে অবাধ সীমান্ত চোরাচালান হওয়ায় গোয়াইনঘাটের নিকট ভবিষ্যত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে!
এখানে শিক্ষার হার সিলেটের মধ্যে সর্বনিম্ন। কাঁচা টাকার গন্ধে সীমান্ত জনপদ গোয়াইনঘাটে চাঁদাবাজদের উৎপাত বেড়েই চলছে। চাঁদাবাজদের বড় একটি অংশ উঠতি বয়সী তরুণ-যুবক। এসব তরুণ-যুবকরা দিনের বেলা ঘুমায় আর রাত হলেই চোরাচালানের নেশায় জড়িয়ে পড়ে। এদের মধ্যে কেউ ব্যবসা করে, কেউ চাঁদা তুলে আবার অনেকেই শ্রমিকের কাজ করে। আর এসবে জড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে এসব উঠতি তরুণদের দাবি, গোয়াইনঘাটে বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। তবে দিন যত যাচ্ছে এসব চাঁদাবাজরা ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। চোরাচালানে নেশাগ্রস্তদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক কিংবা সমাজ সচেতন কোন নাগরিক লিখলেই তারা প্রকাশ্যে কিংবা কৌশলে থ্রেট করে থাকে। তাদের কথা-বার্তায় সন্ত্রাসের অভয়ব ভেসে ওঠে। সুতরাং, গোয়াইনঘাটের ভবিষ্যত আলোকিত করতে হলে এসব চাঁদাবাজ সন্ত্রাসদের নিয়ন্ত্রণ করার এখনি সময়।
দ্বিতীয়ত, সীমান্ত চোরাচালান ব্যবসা গোয়াইনঘাটের জন্য দীর্ঘদিনের একটি চর্চা। এটি এই জনপদের মানুষের অস্তিত্বের সাথে মিশে আছে। দীর্ঘদিনের এই অভ্যাস একদিনে বন্ধ করা কঠিন এবং কোন ভাবে সম্ভবও নয়। তবে এর জন্য কৌশলী কিছু কাজ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সীমান্ত চোরাচালান বন্ধ নিয়ে গবেষণা দাঁড় করাতে হবে। বিশেষ করে সামাজিক ভাবে সচেতন মহলকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। গোয়াইনঘাটের বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষায় দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে সব শ্রেণি-পেশার মানুষজনকে সরব হতে হবে।
পাশাপাশি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুষ্ট চক্রকে চিহ্নিত করে তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করতে হবে। একই সাথে চাঁদাবাজদের সামাজিক ভাবে বয়কট করতে হবে।
তৃতীয়ত, সীমান্ত চোরাচালান বন্ধ করে প্রয়োজনে একাধিক বর্ডার হাট স্থাপন করার উদ্যোগ নিতে হবে। বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে।
Leave a Reply