দর্পণ রিপোর্ট: সিলেটের গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেছেন, প্রত্যেক মানুষ জন্মগতভাবে নিজ নিজ থেকে মেধা মননে, কর্মক্ষমতায়, ভিন্ন রুচিবোধ ও চিন্তাশক্তি নিয়ে জন্মায়। জন্মের পরবর্তী পরিবেশের আলোকে সে নিজেকে বিকশিত করে তুলে। কিন্তু অনেকে সময় ও সুযোগের অভাবে তার মাঝে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারে না। আমাদের সমাজে অনেক মানুষ আছে, আমরা চিন্তা করতে পারবোনা, তার মাঝে কোন ধরনের প্রতিভা লুকিয়ে আছে যা আপনার আমার মাঝে নেই। সত্য হলো যে, অনেক ক্ষেত্রে প্রতিভা বিকশিত করার মতো সুযোগ সৃষ্টি হয় না বলে আমাদের চারপাশে থাকা অনেক মানুষের প্রতিভার বিকাশ ঘটে না। তাই প্রত্যেক মানুষকে তার মাঝে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত প্রতিভার বিকাশে সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
তিনি বলেন, যেমনটা আজকে আমাদের কলেজের পহেলা বৈশাখের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপলব্ধি করতে পারলাম। কলেজে এমন প্রতিভাবান শিক্ষক শিক্ষার্থী আছে আমি কল্পনা করিনি। অন্যান্য কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিসিএস ক্যাডারদের মধ্য এমন প্রতিভা আছে কিনা আমার সন্দেহ। আবহমান বাংলার সংস্কৃতি ঐতিহ্যের প্রতীক প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশাত্মবোধক গান,পল্লীগীতি রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত , নৃত্য, পুঁথিপড়া, কবিতা আবৃত্তিতে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা যে পারফরমেন্স দেখালেন আমি মুগ্ধ। আমাদের এই সংস্কৃতি ও প্রতিভা কে লুকিয়ে না রেখে বিশ্বের বুকে ছড়িয়ে দিতে হবে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের আয়োজনে পহেলা বৈশাখের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যক্ষ বলেন, দেশ ও জাতির সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষার গুণগত মান ও মানসম্মত শিক্ষা একান্ত দরকার। শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিক ও মানবিক গুণাবলির বিকাশ ঘটানো খুবই জরুরি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিকতা ও মানবিক গুণাবলি গড়ে তুলতে শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
হাবিবুর রহমান বলেন, প্রতিভা মানুষের মজ্জাগত বিষয়, সঠিক চর্চা এবং পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিভার বিকাশ ঘটে থাকে। প্রতিভাকে লালন করতে হয়, প্রতিভার বিকাশের জন্য প্রতিপালন করতে হয়।
এ সময় তাঁর হৃদয়স্পর্শী বক্তব্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়।
বাংলা নববর্ষ উদযাপন কমিটির আহবায়ক গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের শিক্ষক পৃথিশ কান্তি ঘোষ ও অপু চন্দ্র দাসের সঞ্চালনায় অনুভূতি ব্যক্ত করেন উপাধ্যক্ষ তপন কৃষ্ণ দেব, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোঃ ফারুক আহমদ, মনিকা শর্মা, চিত্তরঞ্জন রাজবংশী, ফারজানা খান তমা, পিনাক ভট্টাচার্য প্রমুখ।
সকাল ১০টায় কলেজ গেইট থেকে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু করে কলেজ মাঠ প্রদক্ষিণ শেষে কলেজ হলরুমে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের গান, কবিতা আবৃত্তি, একক দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন কলেজের শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী এবং কিশোর কিশোরী ক্লাবের শিক্ষক শিক্ষার্থীবৃন্দ।
Leave a Reply