দর্পণ ডেস্ক : সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্তে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা আট (৮) কোটি দুই লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ করা হয়েছে। এটি গোয়াইনঘাট সীমান্তের জন্য সবচেয়ে বড় চোরাচালান বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সংশ্লিষ্টরা।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা সীমান্তবর্তী লামাপুঞ্জি, নকশীপুঞ্জি ও রাধানগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব চোরাইপণ্য আটক করা হয়।
অভিযানে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: সাইদুল ইসলাম, মেজর মোঃ নূরুল হুদা, সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর উপ-অধিনায়কের অধীনে বিজিবি ফোর্স ও গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট বিজিবি ৪৮ ব্যাটালিয়ন উপ-অধিনায়ক, ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ২ হাজার ৯০৭ পিস ভারতীয় শাড়ি, কাশ্মীরি শাল ১ হাজার ১৬২ পিস, থ্রি পিস ৪১৩টি, বিভিন্ন প্রকার থান কাপড় ১২ হাজার ৪৩৫ মিটার, ব্লেজারের থান কাপড় ১ হাজার ১৬০ মিটার, মকমলের সোফার কভার ঙ হাজার ৫৫৬ মিটার, বিভিন্ন ধরণের ক্রিম ৪৪ হাজার ৭২২ পিস, পন্ডস ফেসওয়াশ ১ হাজার ৬৬৯ পিস, জনসন বেবি লোশন ৬১২ পিস, ব্রিকস চকলেট ২ লাখ ৬২ হাজার ৯৯০ পিস, ই-ক্যাপ ট্যাবলেট ১ হাজার ২৬০ পিস এবং অন্যান্য ভারতীয় পণ্য জব্দ করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৮,০২,৩১,১৫০.০০ (আট কোটি দুই লক্ষ একত্রিশ হাজার একশত পঞ্চাশ) টাকা।
সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির অভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্তবর্তী এলাকার অভিযান যৌথভাবে পরিচালনা করে ভারত থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা চোরাই মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দ মালামালগুলোর বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে
Leave a Reply