1. info@www.gowainghatdarpan.online : গোয়াইনঘাট দর্পণ :
  2. gowainghatdarpa@gmail.com : গোয়াইনঘাট দর্পণ : গোয়াইনঘাট দর্পণ
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
গোয়াইনঘাটে ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটিতে থমকে গেছে ঘর নির্মাণ, ভোগান্তিতে জুবায়ের আহমদ সড়ক উন্নয়ন ছাড়া গোয়াইনঘাটের পর্যটন সম্ভাবনা ব্যাহত হবে গোয়াইনঘাট প্রবাসী সমাজকল্যাণ পরিষদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা : বিভিন্ন মহলের অভিনন্দন গোয়াইনঘাটে পরিবর্তনের ডাকে তরুণরা : নেতৃত্বের নতুন আশার নাম আমিরুল অনিয়মে জর্জরিত রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট : চলছে ব্ল্যাক টিকেট বাণিজ্য হাতিপাড়া গ্রামকে বাল্যবিবাহ ও খোলাপায়খানামুক্ত ঘোষণা গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ে নৌকা ডুবে শ্রমিক নিখোঁজ গোয়াইনঘাটে পূর্বাভাসভিত্তিক সাড়াদান বিষয়ে এফআইভিডিবির প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত সতী গ্রামবাসীর মহতী উদ্যোগ অনুকরনীয় গোয়াইনঘাটে ধানকাটা উৎসবে ইউএনও রতন কুমার অধিকারী গোয়াইনঘাটে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসা ভারতীয় গরু বন্ধে প্রশাসনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

গোয়াইনঘাটে কবরস্থানের বালু বিক্রির টাকা আত্মসাত : তদন্তে এসিল্যান্ড

  • প্রকাশিত: শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের গোয়াইনঘাট কবরস্থানের বালু বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে একটি প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) গোয়াইনঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)মোঃ সাঈদুল ইসলাম সরেজমিন তদন্ত করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের মনাইকান্দি কবরস্থানের ১৭ বিঘা জমির বালু বিক্রির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে একটি স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে গত ২৯ আগস্ট গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জনস্বার্থে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের সাংবাদিক আবুল হোসেন। পরে ইউনিয়নের দায়িত্বরত তহশিলদার বিষয়টি নিয়ে সরেজমিন তদন্ত করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈদুল ইসলামের নিকট বালু বিক্রির সাথে জড়িত ৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গোয়াইনঘাট উপজেলার ২ নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের মনাইকান্দি কবরস্থানের ১৭ বিঘা জমির সামনের পিয়াইন নদীর বালু বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী দুইটি পক্ষ। তারা হলেন মনাইকান্দি গ্রামের বাসিন্দা আফতাব উদ্দিন ও জুবের আহমদ গং।

কবরস্থানের জমিকে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দাবি করে জোরপূর্বক কবরস্থানের সামনের ৪ লাখ টাকা করে প্রতি বিঘা বালু বিক্রি করে উক্ত টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নিয়ে যায়। তখন সাংবাদিক আবুল হোসেন গোয়াইনঘাট থানার তৎকালীন ওসি রফিকুল ইসলামের কাছে বালু বিক্রি বন্ধের জন্য অভিযোগ করেন। কিন্তু ৫ দিন বালু বিক্রি বন্ধ থাকলেও পরবর্তীতে পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নে দায়িত্বরত পুলিশের এসআই জাহাঙ্গীর আলম ও এএসআই রয়েল মিয়ার সাথে রহম-দহম করে পুনরায় বালু বিক্রি শুরু করেন। স্থানীরা প্রতিবাদ করলেও পুলিশ প্রতিবাদকারীদের মুখ বন্ধ করে দেয়। এই বালুখেকোদের বিরুদ্ধে কেউ কোন প্রতিবাদ করলেই পুলিশী হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। অত্র এলাকার বাসিন্দারা নিরীহ প্রকৃতির লোক। তাই পুলিশী হয়রানির ভয়ে এসকল বালুখেকোদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করার সাহস করতে পারেনি। তাই বাধ্য হয়ে কবরস্থানের সম্পদ রক্ষার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দারস্থ হন সাংবাদিক আবুল হোসেন।

এ ব্যাপারে সাংবাদিক আবুল হোসেন বলেন, ‘এই বালু বিক্রির টাকা উদ্ধার করে কবরস্থানের উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা ও লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে জনস্বার্থে উচ্চ আদালতের স্বর্ণাপন্ন হবেন তিনি। তিনি বলেন, বালু বিক্রির বিষয়ে দুইজনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

সরেজমিন তদন্তকালে গোয়াইনঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাঈদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘কবরস্থানের সম্পদ লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মৃত্যুর পর সকল মুসলমানদের আসল ঠিকানা কবরস্থান। যারা এই কবরস্থানের সম্পদ লুটপাট করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদের কোন ভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন

স্বত্ব © গোয়াইনঘাট দর্পণ কর্তৃক সংরক্ষিত

প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট